ইতিহাসের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অসংখ্য জীবের উদ্ভব ও বিলুপ্তি ঘটেছে বিবর্তনের জটিল নকশা অনুসরণ করে। ধর্মগ্রন্থগুলোতে, যেমন বাইবেল ও কুরআনে, এই বিষয়টির পেছনে এমন একজন স্রষ্টার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দেয় যিনি তাঁর ঐশ্বরিক প্রজ্ঞা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী পৃথিবীর জীববৈচিত্র্যের মাঝে পরিবর্তন আনয়ন করে থাকেন (জেনেসিস ১:২৪-২৫, কুরআন ২:৩০ )। এই দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, খোদার সৃষ্টিশীল শক্তিই সকল জীবের সৃষ্টি করেছে যার প্রত্যেকটিই নির্দিষ্ট পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকার জন্য অনন্যভাবে ডিজাইন করা।
আর স্মরণ করুন, যখন আপনার রব ফেরেশতাদের বললেন, নিশ্চয় আমি যমীনে খলীফা সৃষ্টি করছি, তারা বলল, আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে ফাসাদ ঘটাবে ও রক্তপাত করবে? আর আমরা আপনার হামদসহ তাসবীহ পাঠ করি এবং পবিত্রতা ঘোষণা করি। তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি তা জানি, যা তোমরা জান না। (সুরা বাকারা ২:৩০)
পরে আল্লাহ্ বললেন, জমিন বিভিন্ন জাতের প্রাণী, অর্থাৎ নিজ নিজ জাত অনুসারে গৃহপালিত পশু, সরীসৃপ ও বন্য পশু উৎপন্ন করুক; তাতে সেরকম হল। ফলত আল্লাহ্ নিজ নিজ জাত অনুসারে বন্য পশু ও নিজ নিজ জাত অনুসারে গৃহপালিত পশু ও নিজ নিজ জাত অনুসারে যাবতীয় ভূচর সরীসৃপ সৃষ্টি করলেন; আর আল্লাহ্ দেখলেন যে, সেসব উত্তম। (পয়দায়েশ/জেনেসিস ১: ২৪)
আধুনিক মানুষের উত্থান
জীবাশ্মের প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, শারীরিকভাবে আধুনিক মানব, হোমো স্যাপিয়েন্স, আফ্রিকায় প্রায় ২,০০,০০০-৩,০০,০০০ বছর আগে প্রথম আবির্ভুত হয়েছিল [১]। সময়ের সাথে সাথে, আদিম প্রকৃতির সরঞ্জামাদি এবং ক্রমবর্ধমান বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন পরিবেশে বেঁচে থাকার যোগ্য এই প্রাথমিক মানবেরা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল [৩]।

অন্যান্য হোমিনিড প্রজাতির সাথে মানুষের সহাবস্থান
হাজার হাজার বছর ধরে, হোমো স্যাপিয়েন্স-রা অন্যান্য হোমিনিড (তথা মানবরূপী) প্রজাতিদের সাথে সহাবস্থান করত [৪]। এমন দুটি প্রজাতির উদাহরণ হলো নিয়ানডারথাল এবং ডেনিসোভান। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণে দেখা যায় যে এই হোমিনিডদের একে অপরের সাথে যোগাযোগ হতো। কখনো তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে টিকে থাকার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতো। আবার কখনো তাদের মাঝে আন্তঃপ্রজননও ঘটেছিল যা আধুনিক মানুষের বর্তমান জিনগত বৈচিত্র্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছে [৫]।

ছবি ১: আদিম মানবদের স্থানান্তর [২]
প্রাথমিক মানব সংস্কৃতি: যোগাযোগ, ধর্ম এবং সহিংসতা
ঐতিহাসিক রেকর্ড এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো থেকে প্রাথমিক মানুষের জটিল ভাব প্রকাশ , ধর্মীয় চিন্তা এবং পারস্পরিক সহিংসতা করার ক্ষমতার ব্যপারে ধারনা পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, গুহাচিত্রাবলি ভাব প্রকাশের এমন এক আদিরূপের সাক্ষ্য দেয়, যা বিমূর্ত-চিন্তা করার ক্ষমতার জানান দেয় [৬]। একইভাবে, মৃতের সৎকার করার রীতি এবং বিভিন্ন পবিত্রজ্ঞান করা নিশান বা বস্তুর উপস্থিতি একটি আদিম আধ্যাত্মিকতা বা ধর্মের বুঝের ইঙ্গিত দেয় [৭]। আর অন্যখানে, খুলি ও হাঁড়ে ফাটল এবং অস্ত্রাঘাতের প্রমাণ তাদের পারস্পরিক সহিংস-প্রবণতাকে প্রকাশ করে, যা খুব সম্ভবত সম্পদ বা অঞ্চলের দখলদারিত্বের বিরোধের কারণেই ঘটতো [৮]।
মানুষের খাদ্যাভ্যাস
স্থিতিশীল আইসোটোপ বিশ্লেষণ থেকে জানা যায় যে প্রাথমিক মানুষদের মূল খাবার ছিল মাংস, যা তারা শিকার কিংবা খোঁজাখুজির মাধ্যমে আহরণ করতো বলে ধারনা করা যেতে পারে [৯]। আইসোটোপ বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এটাও প্রতিয়মান হয় যে, মানুষের শিকারের পছন্দনীয় প্রাণী অন্যান্য শিকারি-প্রাণীদের মত ছিল না। বরং, মানুষ বেছে বেছে শুধু হাতি এবং বিশাল গবাদি পশুর মতো উচ্চ ফ্যাট ও আমিষযুক্ত তৃণভোজী প্রাণীদেরকেই শিকার করতো [১০]।
অন্যান্য হোমিনিড প্রজাতির বিলুপ্তি
প্রায় ৪০,০০০ বছর আগে, নিয়ানডারথাল এবং ডেনিসোভানসহ অন্যান্য হোমিনিড প্রজাতিগুলো জীবাশ্ম রেকর্ড থেকে হারিয়ে যায়। এর বিপরীতে কেবল হোমো স্যাপিয়েন্সই একমাত্র উন্নত হোমিনিড হিসেবে টিকে থাকে [১১]। বাকিদের হারিয়ে যাবার কারণগুলি পুরোপুরি বোঝা না গেলেও, হোমো স্যাপিয়েন্সের উন্নত প্রযুক্তি ও বুদ্ধিমতার সাথে প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে না পারাকে এর ব্যাখ্যা হিসাবে হাজির করা হয়ে থাকে [১২]।
নবী আদমের আগমন
প্রত্নতাত্মিক প্রমাণ থেকে জানা যায়, প্রায় ১০,০০০ বছর আগে, এক কৃষি বিপ্লবের গোড়াপত্তন হযেছিল, যা তখনকার মানব সমাজকে মৌলিকভাবে বদলে দিয়েছিল। চাষাবাদের উদ্ভব মানুষকে একটা স্থায়ী সমাজিক কাঠামো গঠন করার সুযোগ করে দিয়েছিল। এই আদিম স্থায়ী আবাসগুলোয় ধীরে ধীরে আজকের আবিষ্কৃত প্রাচীনতম শহরগুলোয় রূপ নিয়েছিল। এমন একটা শহর হলো জেরিকো নামক শহরটি, যা প্রায় ৯,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লেভান্ত (লেবানন ও সিরিয়া) অঞ্চলে নির্মিত হয়েছিল। এটাকে অনেকেই ইতিহাসের প্রথম শহর বলে থাকেন। এমন আর একটি শহর হলো আধুনিক তুরস্কে অবস্থিত কাতালহুয়ুক, যা প্রায় ৭১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৫৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল [১৩]। তাই এটাকেও প্রাচীনতম নগর-বসতিগুলির মধ্যে বিবেচনা করা হয়।
প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের জের ধরে পাওয়া কৃষি ও স্থায়ী আবাসনের উদ্ভবের ঘটনাটি ধর্মীয় বর্ণনাগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশেষ করে ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের ক্ষেত্রে নবী আদমের আগমনের যে বর্ণনা, তার সাথে এটার অত্যাধিক মিল আছে। আর ধর্মমতে আদমকেই প্রথম সত্যিকারের মানুষ বলা হয়।
এ ব্যাপারে আল-কুরআনে সুরা বাকারায়(২:৩০) এবং বাইবেলের জেনেসিসে (৪:২) ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এ বর্ণনা অনুযায়ী, আল্লাহ মানুষকে “খলিফা” বা পৃথিবীর তত্ত্বাবধায়কদের পদমর্যাদায় উন্নীত করেছিলেন। ফেরেশতারা এই পদোন্নতির বিষয়ে প্রশ্ন করেছিল মানুষের অশান্তির প্রবণতা এবং রক্তপাতের উল্লেখ করে – যা কেবলমাত্র মানব প্রজাতি যদি পৃথিবীতে নবী আদমের আগমনের আগেই বিদ্যমান থেকে থাকে তবেই করা সম্ভব ছিল।
একই কথা ভাষার বিকাশের ইতিহাসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সমস্ত মানব ভাষা-পরিবারগুলি একটি সাধারণ আদি-ভাষা থেকে বিবর্তিত হয়েছে বলে ধারনা করা হয়, যা প্রোটো-ওয়ার্ল্ড হাইপোথিসিস হিসাবে পরিচিত [১৪]।
পরে তিনি হাবিল নামে তার সহোদরকে প্রসব করলেন। হাবিল ভেড়ার পাল চরাত, আর কাবিল ভূমিতে কৃষি কাজ করতো। (পয়দায়েশ/জেনেসিস ৪:২)
নবী আদমের বংশধর এবং অন্যান্য মানুষ
নবী আদমের আগেও শারীরিকভাবে সদৃশ্য হোমো সেপিয়েন্স তথা মানুষের অস্তিত্ব ছিল, এবং তিনি সম্ভবত তাদের সাথে সহাবস্থানও করেছিলেন। কিন্তু কেবল নবী আদমের বংশধরদের টিকে যাবার কারণ ছিল উচ্চতর প্রযুক্তি ও উন্নত ভাষার কারণে প্রাপ্ত যোগাযোগ দক্ষতা। তারা সম্ভবত বিদ্যমান মানব প্রজাতির সাথে বিবাহ সম্পর্কেও আবদ্ধ হয়েছিল যার কারণে আদি মানবরা বর্তমান মানুষের মাঝেই মিশে গিয়েছিল। আবার এটাও হতে পারে যে বহু মানব জনগোষ্ঠী চরম জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায়, কেবল নবী আদমের বংশধরদের দ্বারাই পুরো বিশ্বে বিস্তার ঘটা সম্ভব হয়েছিল [১৫]।
আদম পরবর্তি প্রাথমিক মানব বসতিগুলি মূলত মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দিকে ছিল। পরে ধীরে ধীরে এই মানুষেরা বাইরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সুমেরীয় এবং মিশরীয়দের হাতে বড় বড় সভ্যতার উত্থানের আগে, বহুবারই এই মানুষদের উপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনার ঘটেছিল। ধর্মীয় বয়ানের মহাপ্লাবনের যে ঘটনাটি পাওয়া যায় (বাইবেলের জেনেসিস ৭:১৭-২৪ এবং কুরআনের সুরা হুদ ১১:২৫-৪৮) তা সম্ভবত এমন একটি বিধ্বংসী ঘটনার সাথেই সম্পর্কিত ছিল, যা নবী নূহের সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ঘটেছিল [১৬]।

ছবি ২: মহাপ্লাবনের পর নূহের পুত্র শ্যাম ও ইয়াফেসের বংশধরদের স্থানান্তরের একটা সম্ভাব্য জেনেটিক রূপরেখা। [২২]
মহাপ্লাবনের পর নবী নূহের বংশধরদের ছড়িয়ে পড়া
মহাপ্লাবনের পরে, নবী নূহের তিন পুত্রের বংশধররা—হেম, শ্যাম এবং ইয়াফেস—বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের বংশধর থেকে বিভিন্ন সভ্যতা উদ্ভূত হয়। যেমন হেমের বংশধররা আফ্রিকান সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করেছিল, শ্যাম এর বংশধররা মধ্য প্রাচ্যের সভ্যতার উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিয়েছিল, এবং ইয়াফেস এর বংশধররা ইউরোপীয় এবং কিছু এশীয় সভ্যতা সৃষ্টি করেছিল (বাইবেলের জেনেসিস ১০:১-৩২) [১৭]।
ইব্রাহিমী নবীগণের যুগ
খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালের দিকে মানুষের ইতিহাসে শুরু হয় ইব্রাহিমী যুগ । এই সময়ের পূর্বে এলাকা ভিত্তিম ব্যক্তি নবীর আগমণ হতো। কিন্তু, নবী ইব্রাহীমের মাধ্যমে, এই ধারাকে একটা জাতিকে ঘিরে নবী আগমণের ধারায় বদলে দেয়া হয়েছিল। এ বিষয়টি, ইস্রায়েলি জাতির উত্থান এবং পতনের ইতিহাসে সুস্পষ্ট বর্ণিত হয়েছে। ইস্রায়েল জাতিকে আশেপাশের জাতিগুলির কাছে খোদার বাণী প্রচার করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল [১৮]। অশূরীয়, বাবিলীয়, পারস্য, গ্রীক এবং রোমান সাম্রাজ্যগুলির ইতিহাসে ইস্রায়েলিদের একাধিকবার উত্থান এবং পতন হয়েছে, যা মূলত আল্লাহর সাথে তাদের চুক্তি-সম্পর্কের উপর নির্ভর করেই ঘটেছিল।
সর্বশেষ ঈসার পরে, ইস্রায়েলিরা তাদের সার্বভৌমত্ব হারিয়ে ফেলে। অতঃপর ইব্রাহিমের বংশধরদের অন্য একটি শাখা (আরব) ইসমাইলিরা আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে নবী মুহাম্মদের আগমনের মাধ্যমে দুনিয়ার বুকে বড় শক্তি হিসাবে উত্থান লাভ করে [১৯]। ইস্রায়েলিদের ভাঙাগড়ার ইতিহাসের মতো করেই, ইসমাইলিরাও নিজেদের একাধিক উত্থান এবং পতনের সাক্ষী হয়েছে। আর এই মুহূর্তে তারা অন্যান্য জাতি দ্বারা দমিত হয়ে আছে [২০]।
আধুনিক যুগ: ইয়াজুজ এবং মাজুজের যুগ
বাইবেলের ব্যাখ্যা অনুসারে, বর্তমান যুগ হলো ইয়াফেসের বংশধরদের যুগ। বিশেষ করে এটা ইয়ায়েসের বংশধরদের একটা শাখা ইয়াজুজ এবং মাজুজের প্রকাশিত হবার যুগ। কুরআন (সুরা আল-কাহফ ১৮:৯৪-৯৯) এবং বাইবেলে (যিহিষ্কেল ৩৮-৩৯, কাশফ/রেভেলেশন ২০:৭-১০) বর্ণনায় এসেছে যে. ইয়াজেজ মাজুজের মুক্ত হয়ে যাওয়া (খুরুজ হওয়া) পৃথিবীকে ঘটনাচক্রে একটা বড় ধরনের যুদ্ধ ও সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাবে, যা কিয়মত দিবসে পরিণত হবে। এই ব্যাখ্যাটি মোঙ্গল, তুর্কি এবং ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের ঐতিহাসিক উত্থান থেকে ব্যাখ্যা করা যায়। কার্যত, তাদের মুক্ত হওয়া কোন একটা মুহূর্ত বা বছর নয়, বরং শতাব্দিকাল ধরে চলা প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে [২১]।
[লেখাটি ইংরেজি ম্যাগাজিন ‘Monthly Renaissance’ থেকে নেয়া। মূল লেখক: ডা. সাদ সেলিম]
রেফারেন্স
[১] Hublin, J. J., & Roebroeks, W. (2009). Ebb and flow or regional extinctions? On the character of Neandertal occupation of northern environments. Comptes Rendus Palevol, 8(5), 503-509.
[২] উৎস: https://en.wikipedia.org/wiki/Early_human_migrations
[৩] Stringer, C. (2016). The origin and evolution of Homo sapiens. Philosophical Transactions of the Royal Society B: Biological Sciences, 371(1698).
[৪] Higham, T., et al. (2014). The timing and spatiotemporal patterning of Neanderthal disappearance. Nature, 512(7514), 306-309.
[৫] Prüfer, K., et al. (2014). The complete genome sequence of a Neanderthal from the Altai Mountains. Nature, 505(7481), 43-49.
[৬] Zaidner, Y., et al. (2018). An Early Aurignacian arrival in southwestern Europe. Nature Ecology & Evolution, 2(5), 873-881.
[৭] Pearson, M. P. (1999). The archaeology of death and burial. Sutton Publishing.
[৮] Walker, P. L. (2001). A bioarchaeological perspective on the history of violence. Annual Review of Anthropology, 30(1), 573-596.
[৯] Richards, M. P., & Trinkaus, E. (2009). Isotopic evidence for the diets of European Neanderthals and early modern humans. Proceedings of the National Academy of Sciences, 106(38), 16034-16039.
[১০] Bocherens, H., et al. (2015). Isotopic insight on paleodiet of extinct Pleistocene megafaunal Xenarthrans from Argentina. Gondwana Research, 27(3), 1314-1322.
[১১] Bocquet-Appel, J. P., & Degioanni, A. (2013). Neanderthal demographic estimates. Current Anthropology, 54(S8), S202-S213.
[১২] Stewart, J. R., & Stringer, C. B. (2012). Human evolution out of Africa: the role of refugia and climate change. Science, 335(6074), 1317-1321.
[১৩] Meece, S. K. (2006). A bird’s eye view of Çatalhöyük. Anatolian Studies, 56, 1-21.
[১৪] Ruhlen, M. (1994). On the Origin of Languages: Studies in Linguistic Taxonomy. Stanford University Press.
[১৫] Relethford, J. H. (2001). Genetics and the Search for Modern Human Origins. Wiley-Liss.
[১৬] Bible. Genesis 7:17-24. Quran. Surah Hud 11:25-48.
[১৭] Bible. Genesis 10:1-32.
[১৮] Azeemi, S. S. (2005). Muraqaba: The Art and Science of Sufi Meditation. Houston: Plato.
[১৯] Armstrong, K. (1992). Muhammad: A Biography of the Prophet. San Francisco: Harper.
[২০] Lewis, B. (2002). What Went Wrong? Western Impact and Middle Eastern Response. Oxford University Press.
[২১] Bible. Ezekiel 38-39, Revelation 20:7-10. Quran. Surah Al-Kahf 18:94-99.
[২২] উৎস: https://doi.org/10.1101/292581