সূরা ফাতিহায় আল্লাহ তায়ালা আমাদের দুয়া শিখিয়েছেন:
اِیَّاکَ نَعۡبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسۡتَعِیۡنُ ”আমরা কেবল তোমারই ইবাদাত করি এবং কেবলমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।”
পবিত্র কুরআনে ইবাদত (عبداة) শব্দটি ব্যবহৃত হয় সৃষ্টিকর্তার প্রতি বান্দার নম্রতা ও আনুগত্য বোঝাতে। নিঃসন্দেহে, এরূপ মানসিকতা অর্জন করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে উপাসনা। দুনিয়াতে একজন মানুষের অন্তরের অবস্থার বাস্তবায়ন ঘটে তার কর্মের মাধ্যমে, তাই উপাসনা বান্দার কর্মের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। সুতরাং বান্দার কাজ হলো কর্মকে এমনভাবে পরিচালিত করা যেন তার কার্যকলাপ কোন ক্ষেত্রেই এ আনুগত্যের ব্যতিক্রম না হয়।
এই আয়াতে শুধু এ কথাই বলা হয়নি যে আমরা আমাদের প্রভুর ইবাদত করি; বরং এটিতে জোর দেয়া হয়েছে যে, আমরা শুধুমাত্র আমাদের প্রভুরই উপাসনা করি এবং শুধুমাত্র তার নিকট সাহায্য চাই। এই স্বীকৃতি থেকে এটি স্পষ্ট যে, এমন কোনো কিছুই নেই যা একজন ব্যক্তি অন্যদের দিতে পারে এবং এমন কিছুই নেই যা তার অন্যদের কাছে চাওয়ার দরকার পড়ে। ফলে, উপাসনা এবং জীবনের অন্যান্য বিষয়ে, সে একমাত্র তার প্রভুর কাছেই সাহায্য চায়। একটু চিন্তা করলেই দেখা যায় যে, প্রতিশ্রুতি ও স্বীকৃতির আকারে প্রভুর কাছে সাহায্য চাওয়াটা কৃতজ্ঞতাবোধেরই একটি স্বাভাবিক ফলাফল যা দিয়ে সূরাটি শুরু হয়েছিল।
মূল: তাফসীর আল বায়ানের আলোকে
অনুবাদ: মুনিরা কবির