বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (BDKRC)

ফারাহী চিন্তাধারার তিন নক্ষত্র

ইমাম হামিদুদ্দীন ফারাহী (রহ.)

১৮ নভেম্বর ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশের আজামগড় জেলার ফারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১১ নভেম্বর ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

ফারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করায় তারা নামের শেষে ফারাহী লেখা হয়। তার পিতার নাম আব্দুল করিম শেখ এবং মাতার নাম মুকিমা বিবি। অতুলনীয় ধর্মতত্ত্ববিদ ও ঐতিহাসিক আল্লামা শিবলী নোমানি (রহ.)-এর মামাতো ভাই ছিলেন এ মনীষী এবং শিবলীর কাছেই তিনি প্রাথমিক আরবী শিক্ষা সম্পন্ন করেছিলেন।

ইমাম ফারাহী তার জীবনের প্রায় ৫০ বছর কুরআন গবেষণায় ব্যয় করেছিলেন এবং আল্লাহর রহমতে তিনি কুরআনের নজম বা সূরা ও আয়াতের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্কের একটা বোধগম্য মডেল দাঁড় করাতে সক্ষম হন, যা পূর্বের বহু কুরআন গবেষক বিচ্ছিন্নভাবে বা অস্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল। আল্লামা শিবলী নুমানী (রহ.) এ ব্যাপারে মন্তব্য করেন, “এটা (অর্থাৎ কুরআনের নজম তত্ত্ব) এক অতিমানবীয় সাফল্য।”

ইমাম ফারাহী তার গবেষণায় প্রমাণ করতে হয়েছিলেন যে, কুরআন মহান আল্লাহর কোন বিচ্ছিন্ন বার্তা নয়। কুরআন স্পষ্ট এবং অত্যন্ত সুনিপুণভাবে সজ্জিত আসমানী হেদায়েত। কুরআনের প্রাঞ্জলতা, অলংকার তার প্রতিটি আয়াত ও শব্দে স্পষ্ট।

আল্লামা শিবলী নোমানি (র.) বলেন: “সাধারণত পণ্ডিত মনীষী দুনিয়ার কাছে অজ্ঞাত থাকেন না এবং তার মহান কর্মগুলো ইতিহাসের পাতায় ভাস্বর থাকে। তবে প্রত্যেকটি নিয়মের যেমন ব্যতিক্রম থাকে, আর সেটাই হয়েছে মৌলভী হামিদুদ্দীনের বেলায়। তার অনবদ্য কর্ম ‘নাজমুল কুরআন’ মুসলিম উম্মাহর জন্য ঠিক ততটাই প্রয়োজনীয়, যতটা তৃষ্ণার্তের জন্য প্রয়োজন পানির।”

সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী (র.) বলেন: “সাধারণভাবে একথা প্রমাণিত যে, আল্লামা ফারাহী কুরআন গবেষণায় সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত ছিলেন। তিনি তার জীবনের বড় অংশ কুরআন গবেষণায় ও এর ভাব উপলব্ধিতে ব্যয় করেছেন। কুরআনের উপর তিনি এতটাই কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে লেখালেখি করেছেন যে, তার সমতুল্য ও তার কাছাকাছি কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন।”

মাওলানা মানাজির আহসান গিলানি (র.) বলেন: “তার লিখিত গ্রন্থের মূল বৈশিষ্ট্য হলো কুরআন, বাইবেল ও সাহিত্যের গভীর আলোচনা এবং কুরআনের আয়াতসমূহের মাঝে যোগসূত্র প্রমাণের নজিরবিহীন প্রচেষ্টা। তার এই কাজ প্রমাণ করে যে, কুরআন সত্যিই আসমানী গ্রন্থ।”

 

সৈয়দ সুলাইমান নদভী (র) বলেন: “১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১১ নভেম্বর এ যুগের ইবনে তাইমিয়াহ মারা গিয়েছেন। তার প্রতিভার উজ্জ্বলতা অতিক্রম করার সম্ভাবনা এখন আর নেই। তিনি প্রাচ্য-পাশ্চাত্য উভয় জ্ঞানের জ্ঞানী এ অলৌকিক ব্যক্তিত্ব। কুরআনের গভীর পণ্ডিত, কুরআনের রহস্যভেদী, ধর্ম প্রেমের মূর্ত প্রতীক, জ্ঞানের অতুলনীয় সমুদ্র, নিজের ভিতরে ধারণ করা জীবন্ত একটি প্রতিষ্ঠান, উন্নতমানের গবেষক। দুঃখের বিষয় এই মহান ব্যক্তি জন্ম নিলেন আর চলেও গেলেন, কিন্তু দুনিয়াবাসী বুঝলো না: কে আসলো আর কে চলে গেলো।”

ইমাম আমীন আহসান ইসলাহী (রহ.)

ইমাম ইসলাহী (রহ.) ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে আজমগড়ের একটি গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

গ্রামের সরকারি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ, আরবী ও ফারসী ভাষার প্রাথমিক অধ্যয়নের পর তিনি মাদরাসাতুল ইসলাহে ভর্তি হন। মাদরাসাতুল ইসলাহে পড়াশোনার কারণে তার নামের শেষে ‘ইসলাহী’ লকব যুক্ত। ওই সময় মাদরাসাতুল ইসলাহের প্রধান ছিলেন আল্লামা শিবলী নুমানী (র.)।

১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে যুগশ্রেষ্ঠ মনীষী ইমাম হামিদুদ্দীন ফারাহী (রহ.) মাদরাসাতুল ইসলাহের দায়িত্ব নিয়ে এটাকে  জ্ঞানের নতুন দিগন্ত এবং মুক্ত জ্ঞানচর্চার মজবুত কেন্দ্র বানাতে চাইলে তার সে কাজকে সামনে এগিয়ে নেয়ার মানসিকতার শিক্ষার্থী হিসেবে ইমাম ইসলাহীকে পেয়ে যান এবং তাকে তিনি তার উত্তরসূরি নির্বাচন করেন।

ইমাম ইসলাহী (রহ.)-এর লিখেছেন: “যখন আমি ইমাম ফারাহী (রহ.)-এর সাথে দেখা করার জন্য তার গ্রামের বাড়ি যাই, তখন তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কি এখনও পত্রিকা সম্পাদনা করতে চাও না কি আমাদের সাথে কুরআন অধ্যয়ন করতে চাও?’ উত্তরে বলি, ‘আমি আপনার সেবায় আছি।” ইমাম ফারাহী (রহ.)-এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার নিকট ইলম বা জ্ঞান চর্চায় নিয়েজিত ছিলেন।

এরপর জ্ঞানের জন্য তিনি বহু প্রখ্যাত পণ্ডিতের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন, যেমন: হাদীস অধ্যয়নের জন্য তিনি মাওলানা আবদুর রহমান মুবারকপুরীর কাছে গিয়েছিলেন এবং তার থেকে তিনি হাদীস ও উসূলে হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান হাসিল করেন।

১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে জামায়াতে ইসলাম গঠিত হলে ইমাম ইসলাহী ছিলেন এর প্রতিষ্ঠা সদস্য। তিনি তার জীবনের দুই দশক জামায়াতে ইসলামের স্বার্থে উৎসর্গ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জামায়াতে ইসলাম থেকে বেরিয়ে আসেন এবং কুরআন অধ্যয়ন ও শিক্ষার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন। এর ফলশ্রুতিতে তিনি ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে “তাদাব্বুরে কুরআন” নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে তা সুসম্পন্ন হয়।

ইমাম ইসলাহী (রহ.)-কে দীর্ঘ জীবন পেয়েছিলেন। তিনি ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত সুস্থ ছিলেন এবং শিক্ষকতা করে গেছেন। মৃত্যুর তিন বছর আগে তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে এবং ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

উস্তাদ জাভেদ আহমদ গামিদী

ইমাম ইসলাহী (রহ.) যখন ইমাম ফারাহী (রহ.)-এর নিকট পড়াশোনা করতে এসেছিলেন, তখন তার বয়স ছিল: ২২ (বাইশ); আশ্চর্যজনকভাবে ঠিক ২২ বছর বয়সেই উস্তাদ জাভেদ আহমদ গামিদী গিয়েছিলেন জ্ঞানের তৃষ্ণা মেটাতে ইমাম ইসলাহী (রহ.)-এর দুয়ারে আর সে সময় ইমাম ইসলাহী (রহ.)-এর বয়স ছিল: ৭০ (সত্তর)। ইমামও এমন নিষ্ঠাবান ছাত্রকে পেয়ে প্রতিজ্ঞা করান, “অঙ্গীকার করো, তুমি কখনই সত্যকে পরিত্যাগ করবে না, এমনকি তোমার ছায়া তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলেও।”

উস্তাদ জাভেদ আহমাদ গামিদী সাহেব ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবের সাহিওয়ালে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার ছিল আগোগোড়া সুফিবাদের সাথে সম্পৃক্ত।

উস্তাদ গামিদী গ্রামের স্কুল থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি আরবী ও ফারসি ভাষা অধ্যয়ন করেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় মাওলানা আবুল আলা মওদুদী (রহ.)-এর কাজের সাথে তার পরিচয় ঘটে। ইসলামী বিপ্লবের যে ডাক মাওলানা দিয়েছিলেন তিনি সেটাতে সাড়া দেন এবং গড়ে তোলেন সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী (রহ.)-এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। মাওলানার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার সাথে ছিলেন। পরবর্তীতে উস্তাদ গামিদী জামায়েত ইসলাম থেকে সরে আসেন।

স্নাতকে অধ্যয়ন করার সময় তিনি লাহোরের প্রখ্যাত আলেমদের অধীনে আরবি ও ইসলাম সম্পর্কে অধ্যয়নে নিমগ্ন ছিলেন, আর এ সময়ই তার সাথে পরিচয় ঘটে ইমাম ইসলাহী’র। আর এখান থেকেই সূচনা ঘটে নয়া জামানার, নয়া জোয়ারের।

উস্তাদ গামিদী সামনে এগিয়ে নেন ইমাম ফারাহী (রহ.) ও ইমাম ইসলাহী (রহ.)-এর কাজের ধারাকে। কুরআনের নজম তত্ত্বসহ কুরআন অধ্যয়ন, সুন্নাতের সঠিক সংজ্ঞায়ন, হাদীসের উপযুক্ত অবস্থান ও অধ্যয়নের নিয়মসহ গোটা ইসলাম নিয়ে তিনি তার খিদমত অতুলনীয়।

তার রচিত গ্রন্থ:

(১) মীযান [দ্বীন ইসলামের সামগ্রিক বয়ান]

(২) আল-বায়ান [কুরআনের তাফসীর]

(৩) বুরহান [বিভিন্ন প্রবন্ধ সংকলন]

(৪) মাকামাত [বিভিন্ন প্রবন্ধ সংকলন]

(৫) খাওয়ালে-খামা [কাব্যগ্রন্থ]

১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে উস্তাদ গামিদী সাহেব ‘আল-মাওরিদ’ নামে একটি ইসলামি গবেষণা ও অধ্যয়নকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠান ও তার সুযোগ্য ছাত্র ও সহযোগীদের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসার, শিক্ষা দেয়া, গবেষণা করার মতো কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি ও তার ছাত্ররা সম্প্রতি হাদীসের উপর বেশ বড় প্রকল্পে হাত দিয়েছেন, যেখানে গোটা হাদীস ভাণ্ডার নিয়ে কাজ হচ্ছে। প্রতিটি হাদীসকে তার মূল অংশের সাথে সম্পৃক্ত, সেটার প্রেক্ষাপট নির্ধারণসহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজ চলমান।

 

উস্তাদ জাভেদ আহমাদ গামিদী সাহেবের বয়স ৭০ পেরিয়েছে, তাই আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি: তিনি তাকে নেক হায়াত দান করেন যেন এই ঐতিহাসিক কাজটি সুসম্পন্ন হয়।

বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যবৃন্দ

মহিউদ্দীন আহমাদ

লেখক, কলামিস্ট ও চিন্তাবিদ মহিউদ্দিন আহমেদ কানাডা প্রবাসী এই বাংলাদেশী ২৫ আগস্ট, ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে, সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন তিনি বর্তমানে কানাডার টরন্টো শহরে বাস করেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর শেষে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি উচ্চতর শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান এবং সেখানে লন্ডন স্কুল অফ ফরেইন ট্রেড ইন্সটিটিউট হতে কমার্স এন্ড শিপিং-এ ডিপ্লোমা নিয়ে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে সৌদি বাদশা ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের বাণিজ্যমন্ত্রী শেখ আহমেদ সালাহ জমজুমের প্রতিষ্ঠিত “জামজুম লিস সাইয়ারাত ও মোয়াদ্দাত” কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন সৌদি আরবে প্রায় ১৫ বছর কর্মজীবন শেষে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে অভিবাসন নিয়ে তিনি কানাডায় গমন করেন সেখানে তিনি তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে অধ্যয়ন করে আইটি প্রফেশনে চাকরিরত থাকেন কমবেশি ২০ বছর এ চাকরির সুবাদে তিনি আমেরিকা ও কানাডার বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য CBC, BMO, RBC, WOW TECHNOLOGIES, USA ইত্যাদি বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন

পেশাগত জীবনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান সংগঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

১) নিম্ন-আয়ের মানুষের চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা উদ্ভাবনী সেবা ও সহায়তা (Innovative care and support) – ICAS এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী ডাইরেক্টর। [ওয়েবসাইট www.icasupport.com]

২) সৌদি আরবের প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ এম্বাসি স্কুল (বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল দাম্মাম)-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্কুল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন

সাহিত্য কর্ম:

মহিউদ্দিন আহমেদ একজন কলামিস্ট ও লেখক সমাজ সংস্কার মূলক ও ধর্ম বিষয়ক  নিয়মিত লেখালেখি করে থাকেন ২০২১ খ্রিস্টাব্দে তার লেখা  কেন প্রয়োজন ধর্ম চিন্তার পুনর্গঠন প্রকাশিত হয় বাংলা ভাষায় ধর্মীয় চিন্তার পুনর্গঠন বিষয়ক সাহিত্যে এটা নতুন সংযোজন

বইটির ব্যাপারে ফরহাদ মাযহার, ড. তাজ হাশমী, হাসান মাহমুদের ন্যায় প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গ তাদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেছেন। বইটি প্রকাশিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য ইংরজি দৈনিক The Daily Star বইটির রিভিউ করেছে। রিভিউটি পাবেন এই লিংকে: The Daily Star বইটি রকমারিতে পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও অনলাইন প্লাটফর্মের  আলোচনা সভা সেমিনার বক্তব্য রাখেন  ইউটিউবে “জ্ঞানের অন্বেষণে” নামে তার একটি চ্যানেল রয়েছে, যেখানে তিনি ইসলাম নিয়ে চিন্তার খোরাক জাগানো বিষয়ে আলাপ করেন

“বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র” (Bangladesh Knowledge and Research Center – BKRC)-এর সাথে সম্পৃক্ততা:

বাংলাভাষীদের মাঝে বুদ্ধিবৃত্তিভাবে ইসলামকে অধ্যয়নের যে প্রয়াস নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা করেছে, তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি মূলত এ প্রতিষ্ঠানকে নানা পরামর্শ এবং দিক-নির্দেশনা দিয়ে তিনি সামনে এগিয়ে রাখায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন

মঞ্জুর এলাহী

জনাব মঞ্জুর এলাহী ময়মনসিংহ জেলায় ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন পিতা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে শিক্ষা প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকায় চট্টগ্রামেই তার বেড়ে উঠা ছোটবেলা থেকেই তার ধার্মিক পরিবেশে বড় হওয়া এবং এ কারণে তার মাঝে ইসলামের প্রতি আগ্রহ শুরু থেকেই ছিল

বি.এ.এফ. শাহীন স্কুল ও কলেজ  থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.বি.এ. সমাপ্ত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলে থাকাকালে পবিত্র কুরআনের ভাষা শিক্ষা চর্চা নিয়ে শুরু হয় তার পথ-পরিক্রমা কর্মজীবনের শুরুতে তিনি দেশে অবস্থান করলেও পরবর্তীতে তিনি সস্ত্রীক অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমান

২০১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কর্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন অধিদপ্তরে যোগদান করেন, অতঃপর কাজ করেছেন নিরীক্ষা অধিদপ্তর ও আয়কর অধিদপ্তরে চাকুরীর ফাকে সমাপ্ত করেছেন অস্ট্রেলীয় সি.পি.এ. ডিগ্রি ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্রের জনক

ইসলামী কর্ম তৎপরতা:

আরবী ভাষাশিক্ষার সূচনা বাংলাদেশে হলেও অস্ট্রেলিয়া অভিবাসনের পর তিনি আরবী ভাষা ও ব্যাকরণ নিয়ে উস্তাদ নোমান আলী খানের তৈরিকৃত বাইয়েনাহ ড্রিম কারিকুলাম সফলভবে সমাপ্ত করেন অস্ট্রেলিয়াতে মসজিদভিত্তিক ইসলামি দাওয়াতি কর্মকাণ্ডে তিনি বেশ তৎপর এবং বর্তমানে তিনি আরবি ব্যাকরণ ও কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেনমূলত এভাবে তিনি তার পরিমণ্ডলে বেশ কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী তৈরি করতে পেরেছেন, যারা কুরআন ও সুন্নাহ-কেন্দ্রীক শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত। 

“বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র” (Bangladesh Knowledge and Research Center – BKRC)-এর সাথে সম্পৃক্ততা:

বুদ্ধিবৃত্তিভাবে ইসলামকে অধ্যয়ন এবং কেবল কুরআন, সুন্নাত ও বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে বাংলা ভাষাভাষীগণের নিকট ইসলামের বাণী প্রচার ও প্রচারের ব্রত নিয়ে কয়েকজন যুবক ও চিন্তাবিদের সমন্বয়ে গঠিত এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ প্রতিষ্ঠানকে নানাভাবে লজিস্টিক,  বুদ্ধিবৃত্তিক সাপোর্ট এবং সময়োপযোগী দিক-নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে উত্তরোত্তর সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর তিনি  

ইমদাদ হোসেন

জনাব ইমদাদ হোসেন ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে চাঁদপুর জেলয় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পরিসংখ্যানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

ছোটবেলা থেকে মানুষের জীবনঘনিষ্ট বহু প্রশ্ন তাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে, আর সেখান থেকেই ধর্ম নিয়ে একাডেমিক পদ্ধতিতে গবেষণার একটা ঝোক ধারণ করে। ফলশ্রুতিতে ইসলামের বিভিন্ন বই ব্যাপক অধ্যয়ন, ইসলামকে আরও ভালভাবে উৎস থেকে পড়ার তাকিদে মুফতি জাহিদুল হক আযহারী [রহ.]-এর নিকট অধ্যয়ন এবং বিভিন্ন বিষয়ে টুকটাক লেখালেখি ও অনুবাদের সূচনা। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ চলার সময় থেকেই বিভিন্ন বইয়ের অনুবাদ হাত দেয়া হয় এবং সে সুবাদে বেশকিছু পাণ্ডুলিপি তৈরি হয় সে সময়। মূলত বই অনুবাদ, অধ্যয়ন এবং ইসলামের একাডেমিক ময়দানে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত অল্প অল্প করে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

উল্লেখযোগ্য অনুবাদ গ্রন্থ:

১) ১০০১ আবিষ্কার: মুসলিম সভ্যতার অনন্য গৌরবগাথা

২) মোটিভেশনাল মোমেন্টস-১ [মুফতি ইসমাঈল মেনক]

৩) মোটিভেশনাল মোমেন্টস-২ [মুফতি ইসমাঈল মেনক]

৪) নবীদের দু’আ [উস্তাদ নুমান আলি খান]

৫) রিক্লেইম ইউর হার্ট [ইয়াসমিন মুজাহিদ]

“বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র” (Bangladesh Knowledge and Research Center – BKRC)-এর সাথে সম্পৃক্ততা:

মূলত ইসলামের নির্ভেজাল রূপ অনুসন্ধানের পথে তিনি উস্তাদ জাভেদ আহমেদ গামিদীর সন্ধান পান। অন্য সকলের মতো প্রথম দেখায় তেমন গুরুত্ব না পেলেও ধীরে ধীরে প্রতীয়মান হতে শুরুর করে যে, উস্তাদ গামিদী আসলে ইসলামের অন্যতম সুপণ্ডিত, যিনি যেকোন প্রশ্নকে মুকাবিলার হিম্মত রাখেন এবং সেগুলোকে একাডেমিকভাবে উত্তর দিয়ে থাকেন। এরপর বাকিটুকু ইতিহাস। এরই ধারাবাহিকতায় সম্পৃক্ত হয়েছেন ইসলামকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অধ্যয়নের কাফেলা তথা “বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র”-এর সাথে এবং কাজ করে যাচ্ছেন উস্তাদ জাভেদ আহমাদ গামিদীর গোটা সাহিত্য ভাণ্ডারকে বাংলায় প্রকাশের জন্য।  

শাইখ উমর ফারুক

জনাব শাইখ মুহাম্মাদ উমর ফারুক ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ।

স্থানীয় ক্বওমি মাদ্রাসা থেকে ট্রাডিশনাল ইসলামি শিক্ষাধারায় তিনি ‘দাওরা হাদীস’ ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। সিলেট জেলার স্থানীয় ক্বওমি মাদ্রাসা বোর্ডে তিনি কৃতিত্বের সাথে প্রথম স্থান অধিকার করেন, যা তার অসাধারণ মেধার স্বাক্ষর বহন করেতাছাড়া মারকাযুদ দাওয়া ওয়াল ইসলামিয়া, ঢাকায় তিনি ‘মুশতারাক সালে’ একবছর অধ্যয়ন করেন। শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে তিনি শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। সিলেট জেলার একাধিক মাদ্রাসার উচ্চতর বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন তিনি এরমধ্যে সিলেট শহরস্থ হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) মহিলা মাদ্রাসা; জামিয়া হুসাইনিয়া টিকরপাড়া, বিয়ানীবাজার; দারুল কুরআন শিবনগর মাদ্রাসা কানাইঘাট; কাশিফুল উলুম মাদ্রাসা, টুকেরবাজার সিলেট (আরবী ভাষার বিভাগীয় প্রধান) উল্লেখযোগ্য।‌ শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ইসলামের নিয়ে গভীরতর গবেষণার কাজে সম্পৃক্ত। মুসলিমদের ধর্মচিন্তা ও ইসলামের মৌলিক বিষয়ে তার রয়েছে অগাধ পাণ্ডিত্য।

ইসলামি কর্মতৎপরতা

শাইখ মুহাম্মাদ উমর ফারুক মাদ্রাসা শিক্ষকতার পাশাপাশি বয়স্ক ও জেনারেল পড়ুয়া ছাত্রদের আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য নিজস্ব উদ্যোগে আরবী ভাষা বিভাগ নামে সামাজিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছিলেন, তবে বিভিন্ন সমস্যার কারণে তা আর সামনে এগুতে পারেনি। এছাড়া তিনি অনলাইন ও অফলাইনে ইসলামী শিক্ষা ও প্রচারণামূলক বিভিন্ন আলোচনা করে থাকেন।

“বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র” (Bangladesh Knowledge and Research Center – BKRC)-এর সাথে সম্পৃক্ততা:

বাংলা ভাষী মুসলিমদের নিকট কুরআন ও সুন্নাহর দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার একেবারে শুরুতে তিনি নিজেকে এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আরবী ও উর্দু ভাষায় পাণ্ডিত্যের কারণে তিনি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে এ প্রতিষ্ঠানকে আরও সমৃদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত।

আমিনুল ইসলাম

জনাব আমিনুল ইসলাম ঢাকার খিলগাঁওতে জন্মগ্রহণ করেন তার পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলায়। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন যথাক্রমে ফরিদাবাদ ব্যাংক স্কুল এবং ঢাকা কলেজ থেকে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে: বুয়েট) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে অভিবাসন নিয়ে সপরিবারে অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমান। বর্তমানে তিনি সেখানেই কর্মরত আছেন ব্যক্তিজীবনে জনাব আমিনুল ইসলাম অত্যন্ত প্রচারবিমুখ মানুষ।

ইসলামী কর্মতৎপরতা

আমিনুল ইসলাম ওস্তাদ নোমান আলী খানের কাছে সরাসরি আল-বাইয়েনাহ ড্রিম কুরআনিক অ্যারাবিক প্রোগ্রাম কৃতিত্বের সাথে সমাপ্ত করেন। প্রায় দুই দশক ধরে কুরআনিক অ্যারাবিক শিক্ষার সাথে জড়িত তিনি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে কুরআনিক অ্যারাবিক কোর্স পরিচালনা ও কুরআনিক গবেষণার কাজে নিয়োজিত আছেন।

“বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র” (Bangladesh Knowledge and Research Center – BKRC)-এর সাথে সম্পৃক্ততা:

বাংলা ভাষী মুসলিমদের নিকট কুরআন ও সুন্নাহর দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। নিজের জ্ঞান ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে তিনি এ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। 

কবির হুমায়ুন

জনাব কবির হুমায়ুন ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মাহমুদুর রহমান কামালী একজন আলেমে দ্বীন এবং তার কর্মজীবনের শুরুটা সরকারি চাকরি দিয়ে হলেও পরবর্তীতে তিনি ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়েন। তার দাদা ক্বারী আলহাজ মনহর আলী (র.) ছিলেন সিলেট জেলার অন্যতম প্রসিদ্ধ ক্বারী। এমন ধর্ম সচেতন পরিবারে জন্মগ্রহণের সুবাদে জনাব কবির হুমায়ুন ছোটবেলা থেকেই ইসলামের প্রতি অত্যধিক আগ্রহী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য মাদ্রাসা তামিরুল মিল্লাতে পড়াশুনা করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলাম নিয়ে তার রয়েছে ব্যাপক অধ্যয়ন। কর্মজীবনে তিনি একজন ব্যবসায়ী। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে ব্যবসা মারফত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে সেখানেই বসবাস করছেন। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্রের জনক।

ইসলামিক কর্মতৎপরতা

মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে তিনি ছোটবেলাতেই আরবী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন এবং একইসাথে দীর্ঘদিন ওমানের আরবীয় পরিবেশে থাকায় আরবী ভাষাই তার নিত্যদিনের বাহন। ওমানে সামাজিকভাবে ইসলামিক দাওয়াহ ও শিক্ষাদান কর্মসূচির সাথে যুক্ত আছেন। প্রতিনিয়ত কুরআন, হাদীস, তাফসীর অধ্যয়নের পাশাপাশি অনলাইন এবং অনলাইনের বাহিরের বাস্তব জীবনে তিনি ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধের প্রচারে বেশ তৎপর।

“বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র” (Bangladesh Knowledge and Research Center – BKRC)-এর সাথে সম্পৃক্ততা:

বুদ্ধিবৃত্তিভাবে ইসলামকে অধ্যয়ন এবং কেবল কুরআন, সুন্নাত ও বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে বাংলা ভাষাভাষীগণের নিকট ইসলামের বাণী প্রচার ও প্রচারের ব্রত নিয়ে কয়েকজন যুবক ও চিন্তাবিদের সমন্বয়ে গঠিত এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নিজের অর্জিত জ্ঞান ও সামর্থ্য দিয়ে তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে আরও গতিময় করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী।

মুহাম্মদ সিয়াম হোসেন

মুহাম্মদ সিয়াম হোসেন একজন ছাত্র। ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য বিষয় অধ্যয়নে তার আগ্রহ রয়েছে। কাজ করছেন BKRC টিমের সাথে। ইমাম ফারাহি স্কুল অফ থট অনলাইন প্লাটফর্ম ও বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

ইসলামি কর্মতৎপরতা
ইমাম ফারাহি স্কুল অফ থটের ইসলামি গবেষণা মূলক লেখা-জোকা অনুবাদ সহ অনলাইনে ইসলামি কর্মতৎপর রয়েছেন।

‘‘বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র” (Bangladesh Knowledge and Research Center – BKRC)-এর সাথে সম্পৃক্ততা:

 

বাংলা ভাষাভাষী মুসলিমদের নিকট কুরআন ও সুন্নাহর দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ জ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ইংরেজি Bangladesh knowledge research centre সংক্ষেপে B K R C প্রতিষ্ঠা করা হয়। মুহাম্মদ সিয়াম হোসেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের সর্ব কনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠা সদস্য ।

Add New Playlist